ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

লামায় বেপরোয়া মোটর সাইকেল ॥ ৬ মাসে সোয়া ২ হাজার দূর্ঘটনা

ssssমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামায় বেপরোয়া ভাবে চলছে মোটর সাইকেল। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাড়ায় চলার কোন নিয়ম না থাকলেও ৪/৫ জন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক মোটর সাইকেল চলছে উপজেলার বিভিন্ন রোডে। হাসপাতালের গত ৬ মাসের রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় ছোট-বড় মিলে প্রায় সোয়া ২ হাজার দূর্ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে। স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে দুই শতাধিক মানুষ। তাছাড়া সহজে পরিবহন যোগ্য হওয়ায় মাদক পাচার সহ নানান অপকর্ম সংগঠিক হচ্ছে মোটর সাইকেল চলাচলে।

ট্রাফিক বিভাগের উদাসীনতাই নিয়ম না মানার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পথচারীদের। অদক্ষ ড্রাইভার দূর্ঘটনার মূল কারণ বলে জানান লামা ট্রাফিক পুলিশ। অপরদিকে লোকবলের স্বল্পতায় যথাযথ আইন প্রয়োগ সম্ভব হয়না বলে দাবি ট্রাফিক বিভাগের। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা এমন মতামত দিলেন সচেতন সাগরিক ফোরাম। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও বেপরোয়া মোটর সাইকেল চলার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগ। তারপরেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছেনা মোটর সাইকেল চলাচল।

পথচারী অনেকে জানায়, শুধু নিয়ম নেই যেন মোটর সাইকেলের। কখনো এগিয়ে চলছে একেবেঁকে ফুটপাতে পথচারীদের ঝুঁকিতে ফেলে। শুধু ফুটপাতই নয়, রাজপথেরও আতঙ্ক এই দুই চাকার যান। উল্টো পথে, কখনো নিষিদ্ধ বাঁকে মোড় নিয়ে, কখনো আবার বিপদজ্জনক গতিতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরজুড়ে। প্রতিদিনকার এই উৎপাতে সাধারণ পথচারী জানালেন ক্ষোভের কথা।

লামা ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, বিআরটিএ হিসাব অনুযায়ী দেশের ছয় দশমিক সাত ভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মোটর সাইকেল। মোটরসাইকেলের বেপরোয়া ব্যবহার বন্ধে জরিমানা বাড়িয়ে আইন সংশোধন প্রস্তাবের কথা জানালেন ট্রাফিক বিভাগ। মানবাধিকার কমিশন লামা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৈয়ব আলী বলেন, দ্বিচক্র যানের দৌরাত্ম কমাতে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে ট্রাফিক বিভাগকেই।

লামা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খিন ওয়ান নু বলেন, আরোহী বা চালককেই সচেতন হতে হবে সবার আগে। বেপরোয়া মোটর সাইকেল বন্ধে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্টের অভিযান চলছে।

পাঠকের মতামত: